বর্তমানে অনেকে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন বা করছেন। বেশিরভাগ ই-কমার্স সাইট মালিকরা মনে করেন তারা তাদের সাইটে শত শত বা হাজার হাজার প্রডাক্ট আপলোড করে দিবেন। তারপর বন্যার জলের মত ভিজিটর আসতে থাকবে সার্চ ইঞ্জিন থেকে। বাস্তবতা থেকে এই চিন্তা শত কোটি আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত।
আসল ব্যাপার হল ইকমার্স এসইও (eCommerce SEO) না করলে ভিজিটর সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
যদিও বিভিন্ন এড বা বিশেষ প্রমোশান এর মাধ্যমে আপনি ভিজিটর আনতে পারেন। তবে সেগুলোর কার্যকারিতা আপনার এড বা প্রমোশান চলাকালীন পযন্তই।
একটা ব্লগ বা ৫ পেইজের ১ টা কোম্পনি ওয়েবসাইটের তুলনায় একটা ই-কমার্স সাইটের এস ই ও (Search Engine Optimization) করা কিছুটা কঠিন।
প্রতিনিয়ত অনেক প্রডাক্ট পেইজের পরিবর্তন, নতুন নতুন প্রডাক্ট, প্রডাক্ট পেইজ সংযোজন ইত্যাদি ইকমার্স এসইও (Search Engine Optimization) এর কাজ কে কঠিন করে তোলে।
আজকে আমরা ১০ টি ইকমার্স এসইও ভুল সম্পর্কে জানবো যেগুলো সচরাচর আমরা করে থাকি।
১। প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন না থাকাঃ
অনেক ই-কমার্স সাইটে দেখা যায় তাদের প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন নাই। মজার ব্যাপার হল আমাজন, ওয়ালমার্ট, ইবেতে ও আপনি সব প্রডাক্টের ডেসক্রিপশন পাবেন না।
আপনি যদি মনে করেন এতো বড় বড় ই-কমার্স সাইটে ডেসক্রিপশন নাই তাহলে আমার সাইটে না থাকলেও কোনো সমস্যা নাই। ভাই কিছু কাটে ধারে কিছু কাটে ভারে। তাদের সাথে আমাদের তুলনা চলে না তাদের ভারের সাথে সাথে ধাঁরটা ও কম না।
কিছু প্রডাক্টের ডেসক্রিপশান নাই কিন্তু বেশির ভাগ প্রডাক্টেরই আছে। বাংলাদেশের হাতে গোনা ২/১ টা ই কমার্স সাইট ছাড়া কারোই প্রডাক্টেরই টেক্সট ডেসক্রিপশান নাই।
এই না থাকার কারনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লো কম্পিটিশান কিওয়ার্ড হওয়ার পরও গুগল সার্চে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে তারা থাকে না। ফলাফল তারা অরগানিক ভিজিটর বলতে কিছুই পায় না।
তাই আপনার ই-কমার্স সাইটের ক্ষেত্রে এই ভুলটি করা থাকলে এখনি শুধরে নিন। ইউনিক প্রডাক্ট ডেসক্রিপশান যোগ করুন।
উপরের ছবিতে কি দেখতে পাচ্ছেন। একটা ব্যাগ। আমরা জানি যে, একটা ছবি ১০০০ ওয়ার্ড এর চেয়ে বেশি কথা বলে।
সে যুক্তিতে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে আবার কেন প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন এর ঝামেলা ? কারনটা হল সার্চ ইঞ্জিন ছবি পড়তে পারে না, ইমেজ তার কাছে সিমপ্লি কিছু পিকজেল ছাড়া কিছুই না।
ডেসক্রিপশান অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। ইউনিক কনটেন্ট আপনার সাইটের এস ই ও (SEO) এর জন্য অতিব জরুরী। ডেসক্রিপশান লিখার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবেঃ
• আপনার ক্রেতাকে পণ্য কিনতে উৎসাহিত করবে এমন কোয়ালিটি ডেসক্রিপশান লিখতে হবে।
• ভুলে ও অন্যের সাইট থেকে কনটেন্ট কপি করবেন না, করলে গুগল মামা আপনাকে পেনাল্টি উপহার দিবে।
২। উৎপাদনকারিদের প্রডাক্ট ডেসক্রিপশান ব্যবহারঃ
আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা ফিল্টারিং হয়ে ব্যান খেতে চান তাহলে উৎপাদনকারিদের ডেসক্রিপশান হুবুহু ব্যবহার করতে পারেন।
আসল ঘটনা হল, উৎপাদনরিদের সেসব ডেসক্রিপশান আরো অনেক সাইটকে ও দেয়া হয় এবং তাদের প্রায় সবাই সেসব ডেসক্রিপশান হুবহু ব্যবহার করে।
তাই গুগল শত শত কখনো কখনো হাজার হাজার পেইজে একই ডেসক্রিপশান পায় এবং কপি কনটেন্ট হওয়ায় ফিল্টার করে সেগুলোকে বাদ দিয়ে দেয়।
এটা একটা মারাত্তক ভুল। তা ছাড়া উৎপাদনকারিদের ডেসক্রিপশান বেশির ভাগ সময়ই সেলস ফ্রেন্ডলি হয় না।
নিয়মটা হল সব সময়ই ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। তা না হলে গুগল মামা আপনার সাইট কে লাথি মেরে র্যার্ঙ্কিং এর সবার নিচে ফেলে দিবে কনটেন্ট কপি করা আর স্ক্র্যাপ করার পুরস্কার স্বরূপ।
এখন হয়ত আপনি বলবেন, ভাই আপনার কি মাথা খারাপ আমার কয়েক হাজার পণ্য আছে আমি কিভাবে এই হাজার হাজার পণ্যের ইউনিক ডেসক্রিপশান লিখবো।
উত্তরঃ না ভাই,মাথা ঠিক আছে । আপনাকে চেষ্টা করতে হবে ইউনিক ডেসক্রিপশান লিখার।
যদি তা পারেন তাহলে গুগল র্যাঙ্কিং এ আপনার সাইট কে ভাল অবস্থান দিবে, যার ফলস্বরূপ আপনি প্রচুর অরগানিক ভিসিটর পাবেন গুগল থেকে বিনা পয়সায়।
আর আপনি যদি তা পুরোপুরি না পারেন সেখত্রে আপনি যেসব পেইজের ডেসক্রিপশান ইউনিক লিখতে পারেননি সেখানে নো ইনডেস্ক মেটা ট্যাগ (No Index Meta Tag) ব্যবহার করতে পারেন।
৩। প্রডাক্ট রিভিঊ না থাকা বা ঘাটতি থাকাঃ
৭০% ক্রেতা কোন পণ্য কেনার আগে অনলাইন স্টোর বা ফোরাম গুলোতে প্রডাক্ট রিভিউ খুজে থাকে।
তার মানে যদি আপনার সাইটে কোন রিভিউ না থাকে তাহলে আপনি নিশ্চিত ভাবে বেশ ভাল সংখার একদল ক্রেতাকে হারাচ্ছেন।
একটা মজার তথ্য হল রিভিউ পেইজকে গুগল সার্চ এর টপে নিয়ে যাওয়া তুলনামূলক ভাবে সহজ।
কাস্টমারদের কাছ থেকে পাওয়া প্রডাক্ট রিভিউ সম্পর্কে মজার কিছু তথ্যঃ
• ইউনিক কনটেন্ট বানাতে আপনার জান খারাপ অবস্থা, কিন্তু ক্রেতারা আপনার জন্য ফ্রিতে ইউনিক কনটেন্ট লিখে দেন।
• এটি আপনার প্রডাক্ট পেইজ কে জিবন্ত রাখে। এর কারনে গুগল মামা কে বার বার আপনার পেইজ এ ক্রল করতে আসতে হয়।
ইন্ডেস্ক করতে হয়। এসব কিছুই আপনার সাইট র্যাঙ্কিং এ ভাল ভুমিকা রাখে।
৪। সার্চ ডিমান্ড অনুযায়ী প্রডাক্ট পেইজ অপ্তিমাইজড করাঃ
আপনি যখন হেডলাইন, টাইটেল, প্রডাক্ট ডেসক্রিপশান লিখবেন তখন মাথায় রাখতে হবে ডিমান্ড ও সার্চ কিওয়ার্ড এর কথা যেগুলো লোকেরা কোন কিছু সার্চ করতে ব্যাবহার করে থাকে।
এটা না করার মানে হল আপনি কষ্ট করে এমন কিছু কনটেন্ট বানালেন যেগুলো দিয়ে কেউ সার্চ করে না। সেরকম হলে আপনার এত এত পরিশ্রম জলেই যাবে বলতে হয়।
প্রডাক্ট পেইজ অপ্তিমাইজ করার কিছু টিপসঃ
• টাইটেল ও H1 ট্যাগে মডেল নাম্বার ব্যাবহার করুন।
• টাইটেল ও H1 ট্যাগে ব্র্যান্ড নাম ও ব্যাবহার করতে পাড়েন ।
• আপনার সাইটে ব্যাবহার করা ইমেজ গুলোতে alt tag ব্যাবহার করতে ভুলে যাবেন না ।
• আর কখনই iframe ব্যাবহার করবেন না।
নোটঃ এস ই ও (SEO) টিপস নিয়ে সামনে আরো বিস্তারিত লিখবো আশা করছি।
৫। ইউনিক নয় এমন টাইটেল ব্যবহারঃ
এস ই ও এর (SEO ) এর একদম বেসিক একটা বিষয় হল এটি। কিন্তু ই-কমার্স সাইটের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময়ই ইউনিক ট্যাগ এর বিষয়টি খেয়াল করি না।
কোন একটা সাইটের সোর্স কোড যদি আপনি দেখেন তবে টাইটেল ট্যাগ কে নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন।
এটা অবশ্য সত্যি যে যখন আপনি একই ব্যান্ড এর একাধিক আইটেম সেল করবেন অ্থবা একাধিক ব্যান্ডের একই আইটেম সেল করবেন তখন তাদের জন্য ইউনিক টাইটেল করা কঠিন ।
সেক্ষেত্রে আপনি বাধ্য হয়েই বার বার একই কিওয়ার্ড বা শব্দ ব্যাবহার করবেন। সার্চ ইঞ্জিন কিন্তু এদিকে সজাগ থাকে সব সময়ই।
এ থেকে বাচতে আপনি ইউনিক কিওয়ার্ড ফ্যাজ বা লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
এক্ষেত্রে ব্যান্ড- মডেল কিওয়ার্ড ফর্মুলা দিয়ে আপনি আপনার কিওয়ার্ড ফ্যাজ বা লং টেইল কিওয়ার্ড বানাতে পারেন।
উদাহরণ স্বরূপ আপনার লং টেইল কিওয়ার্ড টি হতে পারে এরুপঃ ব্যন্ড – মডেল- আইটেম টাইপ। একটা বাস্তব উদাহরণ হতে পারে এমনঃ “Honda Accord Sports Coupe” or “Burton Aftermath Snowboard 2013”
৬। কথা বলা ইউ আর এল এর অভাবঃ
কি মজার কথা। ইউ আর এল নাকি কথা বলে? আপনি হয়ত ভাবছেন ইউ আর এল কি মানুষ যে কথা বলবে।
ঠিক কথা ইউ আর এল মানুষ না বাট ইউ আর এল কথা বলে ।
এই উদাহরণ টি দেখুন তারপর বলুন এটি কিসের কথা বলছে
http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDRfMzBfMTNfMV8yNV8xXzM3MTY2
এখন এটি দেখে বলুন এটি কি বলছে।
http://www.readanybook.com/ebook/harry-potter-and-the-prisoner-of-azkaban-65
প্রথম টি দেখে কার বাবার সাধ্য যে বোঝে সেটা কিসের কথা বলছে। আমরা কিন্তু পরের তা দেখে ঠিকই বুজতে পেরেছি সেটা হ্যারি পটারের একটা ই-বুকের কথা বলছে।
তাহলে আমরা দেখলাম যে শুধু আপনার ঘরের বউ ( থাকলে ) ছারাও, মানুষ না, মুখ নাই বাট এমন কিছু ও কথা বলে। শুধু কথা না, কাজের কথা।
এ ধরনের ইউ র এল কে কিওয়ার্ড ফ্রেন্ডলি ইউ এর এল বলে। আপনার সকল পণ্যের জন্য এরকম ইউ এর এল তৈরি করা এস ই ও এর জন্য খুবই গুরুত্তপূর্ণ।
৩ টি কারনে আপনার উচিত কথা বলা ইউ আর এল (URL) বানাবেনঃ
১। সিমেন্টীক্সঃ এ ধরনের ইউ আর এল আপনার ভিজিটরদের ও বলে দেয় যে, তারা আপনার পেইজ বা সাইট থেকে কি পেতে যাচ্ছে।
এর ব্যাতিক্রম হলে মানে যদি আপনার ইউ আর এল এ প্রচুর নাম্বার আর সংখ্যা থাকে তখন ভিজিটররা সেটা কে স্পাম বলে ধরে নিবে এবং পেইজ ভিজিট না করেই ভেগে যেতে পারে।
২। কিওয়ার্ড এবং এঙ্কর লিঙ্ক ভাগ্যঃ অন্যান্য সাইট আপনার এই ইউ আর এল কে পিক করে তাদের সাইটে পোস্ট করতে পারে।
আপনার এই ইউ আর এল কে এঙ্কর টেক্সট হিসেবে ব্যাবহার করলে আপনার গুরুত্ব পূর্ণ কিওয়ারড এঙ্কর ট্যাগে আসবে।
এরকম এঙ্কর টেক্সট এ আপনার কিওয়ার্ড থাকলে এবং সেগুলো ভিজিটর কে আপনার সাইট এ নিয়ে আসলে, আপনার জন্য সার্চ ইঞ্জিন এ টপ এ র্যার্ঙ্কিং পাওয়া খুবই সহজ হবে।
৩। ডোমেইন নেইমে রিলিভেণ্ট কিওয়ার্ড থাকা কে গুগল কম গুরুত্ব দেয়া শুরু করেছে। কিন্তু প্রডাক্ট পেজের ইউ আর এল এ রিলিভেন্ট কিওয়ার্ড থাকা কে গুগল অগ্রাধিকার দেয়।
৭। ডুপ্লিকেট বা কপি কনটেন্ট এর ছড়াছড়িঃ
কপি কনটেন্ট আছে এমন পেইজ কে সার্চ ইঞ্জিন এ ইন্ডেক্স করতে দেয়া উচিত না বরং সেগুলো রোবট টিএক্সটি (robot.txt) এ অফ করে দিতে হবে। এটা না করলে আপনার সাইট পেনাল্টিতে পরে যেতে পারে।
ইকমার্স সাইটগুলিতে ডুপ্লিকেট বা কপি কনটেন্ট থাকতে পারে এমন জায়গা গুলো চেনার উপায়:
পণ্যের বিবরণ: যখন একাধিক পণ্যের একই বা অনুরূপ বর্ণনা থাকে, তখন এর ফলে কন্টেন্ট ডুপ্লিকেট হতে পারে। প্রতিটি পণ্যের একটি অনন্য বর্ণনা রয়েছে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রস্তুতকারকের বিবরণ: কোনো পরিবর্তন ছাড়াই প্রস্তুতকারকের বর্ণনা ব্যবহার করলে ডুপ্লিকেট বা কপি কনটেন্ট এর সমস্যা হতে পারে। ইকমার্স সাইট প্রতিটি পণ্যের জন্য অনন্য বর্ণনা তৈরি করা উচিত।
ইউআরএল প্যারামিটার: যখন ইউআরএল-এ এমন প্যারামিটার থাকে যা একই পৃষ্ঠার একাধিক সংস্করণ তৈরি করে, তখন এর ফলে ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট হতে পারে। ক্যানোনিকাল ট্যাগ প্রয়োগ করা এই সমস্যা এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
সেশন আইডি: ইউআরএল-এ সেশন আইডি অন্তর্ভুক্ত করলে ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট হতে পারে কারণ সার্চ ইঞ্জিন প্রতিটি সেশনকে আলাদা পৃষ্ঠা হিসেবে দেখতে পারে। সেশন আইডি মুছে ফেলা বা ক্যানোনিকাল ট্যাগ ব্যবহার করা এই সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।
একটি ইকমার্স সাইটে সদৃশ সামগ্রী এড়াতে, প্রতিটি পৃষ্ঠায় পণ্যের বিবরণ, বিভাগের বিবরণ এবং ব্লগ পোস্ট সহ অনন্য সামগ্রী রয়েছে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ৷ একই পৃষ্ঠার একাধিক সংস্করণ এড়াতে এবং যেকোনো ডুপ্লিকেট বিষয়বস্তুর সমস্যার জন্য নিয়মিতভাবে সাইট নিরীক্ষণ করতে ক্যানোনিকাল ট্যাগ ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি আপনার ই-কমার্স সাইটে উপরের মারাত্তক ভুল গুলো করে থাকেন তবে এখনই এগুলো শুধরে নেন।
৮। সাইটের লোডিং সময় বেশি হওয়া
খেয়াল করলে দেখবেন অনেক ইকমার্স সাইট খুলতে অনেক সময় নেয়। যদি আপনার ইকমার্স সাইট এর পেজ ওপেন হতে অনেক সময় নেয় তাহলে অন-পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে সাইটের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
এছাড়াও ব্যবহারকারীদের একটি পেজ ওপেন করতে অনেক অপেক্ষা করতে হয় এবং এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নেগেটিভ ইম্পেক্ট সৃষ্টি করে।
লোডিং সময় কমানোর জন্য কিছু করণীয় হলো এমনঃ
- পৃষ্ঠাগুলি কম আকারের করুন। একটি পৃষ্ঠার আকার কমানোর জন্য ছবি এবং ভিডিও কম্প্রেস করা যেতে পারে।
- একটি ক্যাশ সিস্টেম ব্যবহার করুন। এটি পৃষ্ঠাগুলি তাড়াতাড়ি লোড করতে সহায়তা করবে এবং পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন না হলে ব্যবহারকারীর পৃষ্ঠাগুলি তাড়াতাড়ি লোড করতে সাহায্য করবে।
- ব্যবহৃত ইমেজ এবং ভিডিও সঠিক ফরম্যাটে সংরক্ষণ করুন। একটি ফরম্যাট যা কম আকারে সংরক্ষিত হয় তা লোডিং সময় কমাতে সাহায্য করবে।
- লাইটওয়েট থিম ব্যবহার করুন। একটি লাইটওয়েট থিম পৃষ্ঠাগুলি কম সময়ে লোড করতে সাহায্য করবে।
- ব্যবহৃত স্ক্রিপ্টগুলি সঠিক ভাবে অপটিমাইজ করুন। সঠিক অপটিমাইজ স্ক্রিপ্ট লোডিং সময় কমাতে সাহায্য করবে।
- সঠিক হোস্টিং প্ল্যান ব্যবহার করুন। একটি সঠিক হোস্টিং প্ল্যান ব্যবহার করা পৃষ্ঠাগুলি তাড়াতাড়ি লোড হয়ে থাকে এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদান করে।
৯। প্রোডাক্ট পেজে পণ্যের রিভিউ বা কাস্টমার পর্যালোচনা না থাকা
ই-কমার্স প্রোডাক্ট পেজে পণ্যের রিভিউ বা কাস্টমার পর্যালোচনা না থাকা একটি বড় এসইও ভুল হতে পারে। পণ্যের রিভিউ বা কাস্টমার পর্যালোচনাগুলি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ:
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা: পর্যালোচনাগুলি সম্ভাব্য ক্রেতাদের মূল্যবান প্রতিক্রিয়া এবং অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, যা তাদেরকে অবহিত ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেয়। গ্রাহকরা অন্যান্য ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা আছে এমন পণ্য কেনার সম্ভাবনা বেশি।
অনুসন্ধান ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং: পর্যালোচনাগুলি পণ্যের পৃষ্ঠাগুলিতে নতুন এবং অনন্য সামগ্রী সরবরাহ করে অনুসন্ধান ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং উন্নত করতে সহায়তা করে। এই বিষয়বস্তু সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে পণ্যটি আরও ভালভাবে বুঝতে এবং অনুসন্ধানের ফলাফলে এটিকে উচ্চতর স্থান দিতে সহায়তা করে৷
সামাজিক প্রমাণ: ইতিবাচক পর্যালোচনাগুলি সামাজিক প্রমাণ হিসাবে কাজ করতে পারে এবং আপনার ইকমার্স স্টোরের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বিশ্বস্ততা বাড়াতে পারে। এটি আরও বিক্রয়ের দিকে পরিচালিত করতে পারে এবং গ্রাহকদের পুনরাবৃত্তি করতে পারে।
প্রতিক্রিয়া: পর্যালোচনাগুলি ইকমার্স স্টোরগুলিতে মূল্যবান প্রতিক্রিয়া প্রদান করে, তাদের পণ্য এবং গ্রাহক পরিষেবার মান উন্নত করতে দেয়৷ এটি আরও ভাল গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারে।
ইকমার্স পণ্য পৃষ্ঠাগুলিতে পণ্য পর্যালোচনা না করা একটি ইকমার্স স্টোরের সাফল্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। সম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে আস্থা তৈরি করতে এবং সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং উন্নত করতে গ্রাহকদের রিভিউ ছেড়ে সময়মত তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে উৎসাহিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
১০ । নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট না করা বা ব্লগ সেকশন না থাকা
আপনি যদি নিয়মিত সাইটে আর্টিকেল বা কন্টেন্ট পাবলিশ না করেন হয়তো আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনের রেংকিং হারাবে। এছাড়াও একটি ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ বা বিষয়বস্তু-চালিত অভ্যন্তরীণ লিঙ্ক না থাকা SEO উন্নত করার জন্য একটি মিস সুযোগ হতে পারে, এখানে কিছু কারণ আছে কেন:
বিষয়বস্তু তৈরি: একটি ব্লগ ওয়েবসাইটের কুলুঙ্গি সম্পর্কিত তাজা, অনন্য এবং তথ্যপূর্ণ সামগ্রী তৈরি করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। এই বিষয়বস্তু সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করা যেতে পারে, ওয়েবসাইটের রেঙ্কিং উন্নত করতে এবং আরও জৈব ট্রাফিক আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।
অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং: একটি ব্লগ ওয়েবসাইটের অন্যান্য পৃষ্ঠাগুলিতে অভ্যন্তরীণ লিঙ্ক তৈরি করার অনুমতি দেয়। এসইওর জন্য অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সার্চ ইঞ্জিনকে ওয়েবসাইটের গঠন এবং পৃষ্ঠাগুলির মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে সাহায্য করে। প্রাসঙ্গিক পৃষ্ঠাগুলির সাথে লিঙ্ক করার মাধ্যমে, এটি সমগ্র সাইট জুড়ে লিঙ্ক ইক্যুইটি বিতরণ করতে সহায়তা করে।
দক্ষতা: একটি ব্লগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, মতামত এবং অন্তর্দৃষ্টি প্রদানের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটিকে তার কুলুঙ্গিতে একটি কর্তৃপক্ষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এটি পাঠকদের সাথে আস্থা তৈরি করতে এবং ব্যস্ততা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া: ব্লগের বিষয়বস্তু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও শেয়ার করা যেতে পারে, ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ফিরিয়ে আনতে এবং ব্র্যান্ড এক্সপোজার বাড়ানো যায়।
সংক্ষেপে, একটি ব্লগ এবং বিষয়বস্তু-চালিত অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং তাজা, অনন্য এবং তথ্যপূর্ণ বিষয়বস্তু তৈরি করে, ওয়েবসাইটটিকে এর কুলুঙ্গিতে একটি কর্তৃপক্ষ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে এবং অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারের সুযোগ প্রদান করে SEO উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। এটি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে ব্লগের বিষয়বস্তু সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ লিঙ্কগুলি পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং সহায়ক।
কোন প্রশ্ন বা জিজ্জাসা থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।