বলতে পারবেন, পুরো দুনিয়াজুড়ে প্রতিদিন কতগুলো ব্লগ পোস্ট পাব্লিশ হয়?
কোন ধারণা?
আসলে, শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরাই দিনে ২ মিলিয়নেরও বেশি সংখ্যক পোস্ট পাব্লিশ করে। অন্যভাবে বললে প্রতি সেকেন্ডে ২৪ টা ব্লগ।
তার মানে আপনি এই কয়টি বাক্য পড়তে পড়তেই ২১৬ টি ব্লগ পোস্ট পাব্লিশ হয়ে গেছে।
এটা শুধু ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের কথাই বললাম। যদি সব ব্লগ পোস্টের সংখ্যা হিসেব করি তাহলে এই সংখ্যা অবশ্যই আরো বেশি হবে।
এসব হিসাব নিকাশ থেকে বোঝাই যাচ্ছে ব্লগ নিয়ে টিকে থাকা মুশকিল। কিন্তু আপনি যদি আপনার ব্লগকে সফলতার সাথে দাড় করাতে চান তাহলে আপনাকে অনেক কিছুই করতে জানতে হবে।
আমি যদিও প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা লাগিয়ে আমার ব্লগ পোস্টগুলো লিখি, যে দশ মিনিট আমি প্রতি পোস্ট অপটিমাইজ করতে ব্যয় করি সেটাই সবচেয়ে জরুরী কাজ।
প্রতি মাসে “এস ই ও” এই টার্মটা লিখে কোটি কোটি লোক গুগলে সার্চ করে – এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
তার মানে এক দিনে ২০ লক্ষেরও বেশি লোক সার্চ করে এবং এটা শুধুমাত্র গুগলে হয় – অন্য সার্চ ইঞ্জিনের কথা বাদই দিলাম।
মুলত, এ কারণেই গুগলের প্রথম পেজে আসার সিদ্ধান্ত আপনাকে একটি সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠা এবং সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে যাওয়া – এ দুটির যেকোনো একটির দিকে নিয়ে যাবে।
কিন্তু এস ই ও বলতে আসলে কি বুঝায়?
আপনি সম্ভবত জানেন যে, এটার পূর্ণরূপ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। কিন্তু, আপনাকে কি অপটিমাইজ করতে হবে?
ডিজাইন? লেখা? নাকি লিংক গুলো?
হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ – অর্থাৎ, এই সব কটাই অপটিমাইজ করতে হয় এবং সাথে আরো অনেক কিছু।
তাহলে, প্রথমে এস ই ও কি তা দিয়েই শুরু করি।
এস ই ও কি ? এটা কেন জরুরী?
[What is SEO? Why its Important]
তো, যেমনটি বলছিলাম, এস ই ও-এর পূর্ণরূপ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এটি বিনামূল্যে সার্চ ইঞ্জিনের ভাল রেংকিং পাওয়ার আর্ট, তাই একে অরগানিক লিস্টিং-ও বলা হয়।
সহজ বাংলায় বললে,
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) হল আপনার অনলাইন কনটেন্ট অপটিমাইজ করার একটি পদ্ধতি যাতে করে একটি সার্চ ইঞ্জিন এটাকে নির্দিষ্ট একটি কিওয়ার্ডের সার্চ রেজাল্টে একেবারে উপরে দেখায়।
চলুন, আরেকটু ভেঙ্গে বলিঃ
এস ই ও – এর কথা আসলে একসাথে তিনটি জিনিস চলে আসে। সেগুলো হল – আপনি, সার্চ ইঞ্জিন, এবং সার্চকারীরা। ধরুন “কিভাবে ভেজিটেবল স্যুপ বানাতে হয়” এই বিষয়ে আপনার একটি আর্টিকেল আছে। এখন স্বভাবতই আপনি চাইবেন সার্চ ইঞ্জিনে (যা মূলত ৯০% ক্ষেত্রে গুগলকেই বুঝায়) যখনই কেউ “ভেজিটেবল স্যুপ” এই শব্দগুচ্ছ লিখে সার্চ করবে তখন আপনার লিখাটিই টপ রেজাল্টে আসুক।
আর এস ই ও হল সেই জাদুকরী জিনিস যাকে কাজে লাগিয়ে আপনার আর্টিকেলটিকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে এমনভাবে তুলে ধরতে পারবেন যেন যখনই কেউ ওই কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করবে তখন টপ রেজাল্টগুলোর মধ্যে আপনারটাও চলে আসবে।
উদাহরণস্বরূপ আপনি গুগল এ গিয়ে “এস ই ও বিগিনার্স গাইড” দিয়ে সার্চ করলে আমাদের এই আর্টিকেলটি ১ নম্বর পজিশন এ দেখতে পারবেন।
ওভারভিউ
হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসছে সার্চ ইঞ্জিন কি ? বা এটা আবার কিসের ইঞ্জিন? সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরণের অন লাইন ডাটা স্টোরেড সার্চ মেশিন। যে কিনা বিভিন্ন ধরণের ডাটা বা তথ্য অনলাইন ডাটা বেশে জমা করে রাখে, যা আপনাকে/ভিজিটরকে বিভিন্ন তথ্য বা সেবা প্রদান করবে আপনার/ভিজিটরের প্রয়োজন অনুযায়ী।ভিজিটর তার সার্চ সর্ম্পকিত সকল ধরণের তথ্য খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে পেয়ে থাকেন। আপনি অবাক হবেন সার্চ ইঞ্জিন তার এই কাজ টি করতে সময় নেয় মাত্র ন্যানো সেকেন্ড।
কিছু জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের নাম !
- Bing
- Yahoo
- Baidu
- Yandex.ru.
- DuckDuckGo
- Ask.com
- AOL.com
এখন, কথা হল জাদুকরী জিনিসটা আসলে দেখতে কেমন, আর কেনই বা এটা দরকার?
যেমনটি আমি আগেও বলেছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের অনলাইন অভিজ্ঞতা শুরু হয় সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে, এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ সার্চকারী গুগলেই প্রথমে আসে।
এই বিষয়ের সাথে আরেকটি কথা সত্য হল গুগলে আসা সর্বমোট ক্লিকের মধ্যে ৬৭% -ই প্রথম ৫ টি রেজাল্টে পড়ে। আর এটা থেকেই বোঝা যায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কেন এতো বেশি জরুরী।
আর এদিকে গুগলের প্রথম পাতায় আসা কতটা কঠিন সেটা নিয়ে ইন্টারনেটে রীতিমত কৌতুক চলছে। যেমনঃ “আপনি যদি কখনো একটি লাশ লুকাতে চান, তাহলে সেটা গুগুল সার্চ রেজাল্টের ২য় পাতায় রেখে দিন।”
যদি আপনার ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল বা পণ্য গুগল সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতা বাদে অন্য কোনটায় থাকে, তাহলে এটা সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক না করারই বরাবর।
কিন্তু কথা হল, সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে আসতে হলে, আপনাকে আগে জানতে হবে সার্চের ব্যাপারটা, মানে এটা কিভাবে কাজ করে।
এখন আপনি যেহেতু এস ই ও সম্পর্কে একটি বেসিক ধারণা পেয়ে গেছেন, এবার তাহলে আমরা এর বিভিন্ন উপাদানসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় আসতে পারি।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করেঃ ক্রওলিং, ইনডেক্সিং এবং র্যাংকিং
[How Search Engines Work: Crawling, Indexing and Ranking]
এটাতে কোন সন্দেহ নেই যে, এস ই ও এখন তুলনামূলকভাবে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে ফলাফল দেখাতে বেশি সময় নিচ্ছে।
একই সাথে, যাই হোক, অরগ্যানিক সার্চে টপে আসার মূল্য এতোটা ভালও কখনো ছিল না, যার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এস ই ও/ সার্চ ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত হারে বেড়ে গেছে।
যেহেতু অধিক থেকে অধিকতর ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে এবং মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, সার্চ ইঞ্জিনকে এই বাড়ন্ত গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, একই সাথে ইউজারদের জন্য সর্বোচ্চ প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট যোগান দিতে হবে। ফলস্বরূপ, আপনার সাইটকে যতটা সম্ভব সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করতে হবে, যার জন্য সার্চ কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে একটি শক্ত পোক্ত জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী।
বেসিক লেভেলে বলতে গেলে, তিনটি প্রধান পদ্ধতি সার্চ রেজাল্ট তৈরি করতে কাজ করে থাকে। আমি এখন সেগুলো নিয়েই কথা বলবঃ ক্রওলিং, ইনডেক্সিং এবং র্যাংকিং।
- ক্রওলিং
ক্রওলিং হল এমন একটি পদ্ধতি যা দ্বারা সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবে আপডেট করা কনটেন্ট খুঁজে, যেমন নতুন সাইট বা পেজ, পুরনো সাইটে পরিবর্তন, এবং ডেড লিংকসমূহ।
এটা করার জন্য, সার্চ ইঞ্জিন একটি প্রোগ্রাম ব্যবহার করে যা “ক্রওলার”, “বট” বা “স্পাইডার” (প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের নিজস্ব ধরণ আছে) নামে পরিচিত, যা কোন সাইটকে কত বার ক্রওল করতে হবে তা নির্ধারণ করতে একটি অ্যালগরিদম প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
যখনই সার্চ ইঞ্জিনের ক্রওলার আপনার সাইটের মধ্য দিয়ে চলবে এটা সেসব পেজে কোন লিংক পেলে সেটাও চিহ্নিত এবং রেকর্ড করে, সাথে তাদেরকে একটি তালিকায় যুক্ত করে যা পরে ক্রওল করা হবে। এভাবেই নতুন কনটেন্ট আবিষ্কৃত হয়।
- ইনডেক্সিং
সার্চ ইঞ্জিন একবার এর ক্রওলকৃত পেজগুলো প্রসেস করে, এটা সেখানে দেখা সবগুলো শব্দ এবং প্রতি পেজে তাদের অবস্থান নিয়ে একটি বিশাল ইনডেক্স সাজায়। এটা মূলত কোটি কোটি ওয়েব পেজের একটি ডাটাবেজ।
এই সংগৃহীত কনটেন্ট তারপর তথ্যসহ সংরক্ষণ করা হয়, সাজানো হয় এবং একই ধাঁচের অন্যান্য পেজের সাথে তুলনা করে এর গুরুত্ব পরিমাপ করতে সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগরিদম দ্বারা ভাষান্তর করা হয়।
সারাবিশ্বে অবস্থিত সার্ভারগুলো ইউজারদের এসব পেজে প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রবেশাধিকার দেয়। এই তথ্য সংরক্ষণ ও সাজিয়ে রাখতে ভালপরিমাণে জায়গা প্রয়োজন হয়। আর মাইক্রোসফট ও গুগল উভয়ের কাছেই লাখেরও বেশি সার্ভার রয়েছে।
- র্যাংকিং
এস ই ও তে আমরা এই একটি দিক নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকি এবং এটি ক্লায়েন্টকে তাদের প্রগ্রেসের একটি বাস্তব চিত্র দেখতে পায়।
সার্চ বক্সে একটি কী-ওয়ার্ড প্রবেশ করানোর পর, সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের ইনডেক্স থেকে যেগুলো সবচেয়ে মিল মত ম্যাচ তা সেগুলো থেকে পেইজ খুঁজবে; হাজার হাজার বিভিন্ন রেংকিং সিগন্যাল দ্বারা গঠিত অ্যালগরিদম এর উপর ভিত্তি করে এসব পেজের মধ্যে একটি স্কোর দেওয়া হবে।
এইসব পেজ (অথবা ছবি এবং ভিডিও) গুলো ইউজারদের নিকট স্কোরের ভিত্তিতে প্রদর্শন করা হবে। তাই আপনার সাইট কে সার্চ রেজাল্ট এর ভালো র্য্যাংক করাতে হলে, এটা নিশ্চিত করা জরুরি যে সার্চ ইঞ্জিন যেন আপনার সাইটকে সঠিকভাবে ক্রয় এবং ইনডেক্স করতে পারে – অন্যথায় তারা আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কে সার্চ রেজাল্টের সঠিক ভাবে র্য্যাংক করাতে পারবে না।
কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং কিওয়ার্ড টার্গেট করার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থাসমূহ
[Keyword Research and Best Way To Keyword Targeting ]
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য কার্যকরী কিওয়ার্ড রিসার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। তাদের শুধুমাত্র পিপিসি এবং এসইও এর জন্য কিভাবে ভাল একটি কিওয়ার্ডের তালিকা তৈরি করা জানলেই হবেনা, স্মার্ট কনটেন্ট মার্কেটারদের কোন টপিকের উপর এবং লেখার সময় কি ধরণের শব্দ চয়ন করতে হবে সেগুলোও জানতে হবে।
কিন্তু আপনি যদি এত আর্টিকেলটি পড়ছেন, আপনি সম্ভবত জেনে গেছেন কিওয়ার্ড কতটা দরকারি। আপনি এখানে এসেছেন শুধুমাত্র কিভাবে এটা আরো ভাল এবং কার্যকরী হিসেবে ব্যবহার করা যায় তা শিখতে।
ইন্টারনেটে কিওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে অনেক ভাল ভাল গাইড রয়েছে। সাধারণত, তারা আপনাকে নিচের এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে বলবেঃ
১. যেসব টার্ম দিয়ে শুরু করবেন তাদের একটা সীড লিস্ট তৈরি করা
২. কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল দিয়ে আপনার লিস্টটিকে বাড়ানো
৩. কম্পিটিটিভ রিসার্চের মাধ্যমে আপনার লিস্টটিকে পরিমার্জিত করুন
তাহলে আমি কেন এই স্তুপের মাঝে আরেকটি আর্টিকেল অ্যাড করব?
কারণ আমি আপনাকে কিওয়ার্ডগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাজানোর জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্কের সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে চাই যা আমি রেড ব্রিকস মিডিয়াতে পেইড সার্চ প্র্যাক্টিস করার সময় তৈরি করেছিলাম। নিচের ইনফোগ্রাফিক থেকে সংক্ষেপে একটি ধারণা পেতে পারেনঃ
Image source: www.neilpatel.com
এই মডেল থেকে বুঝা যাচ্ছে যে ভিন্ন ভিন্ন কিওয়ার্ড ভিন্ন ভিন্ন লেভেলের আগ্রহ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে; কিছু সার্চ টার্ম কনভার্সনে প্রস্তুত এমন মানুষ দ্বারা ব্যবহৃত হয়, আবার কিছু ব্যবহৃত হয় সেসব মানুষ দ্বারা যারা রিসার্চের একবারে শুরুর দিকে আছেন।
এই মডেল ধরে নিচ্ছে যে কনভার্সন করাই আপনার মুখ্য টার্গেট। কিওয়ার্ডগুলো তাদের ধরণের উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে থাকে, এবং কনভার্ট করতে তারা কতটা কার্যকর সেটার উপর নির্ভর করে সাজানো হয়। তাই নিয়মানুসারে, যেসব কিওয়ার্ড টার্গেটের সবচেয়ে কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারবে সেগুলোর উপর সবচেয়ে বেশি সময় ও টাকা বিনিয়োগ করা যুক্তিসংগত। একবার আপনি এগুলোর সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে গেলে আপনি সামনে আগানোর জন্য প্রস্তুত।
১. ব্র্যান্ড টার্মঃ
আপনার ব্র্যান্ডের সাথে যেসব মানুষ ইতোমধ্যে পরিচিত তাদের দ্বারা কনভার্ট করানো সবচেয়ে সহজ। ভলিউমের কথা বলতে গেলে, এই ক্যাটাগরির কিওয়ার্ড হয়তো সর্বোচ্চ সংখ্যক ইম্প্রেশন বা পেজ ভিউ আনতে পারবে না, কিন্তু এগুলো কনভার্সন রেট (পেইড এবং অরগানিক দুইভাবেই) সাধারণত সবচেয়ে বেশি।
২. প্রোডাক্ট টার্মঃ
এটা হল আপনার পণ্য কি বা কেমন এবং কি কি সমস্যা সমাধান করে সেটা। আপনার পণ্যের বা সেবা কতটা বিবিধ সেটার উপর নির্ভর করে এই লিস্ট কত বড় হতে পারে। যারা এই টার্মের জন্য সার্চ করতেছেন তারা সিদ্ধান্ত চক্রে একটু পিছিয়ে আছে, এবং এই টার্মগুলোর জন্য আপনার কস্ট পার অ্যাকশন (সি পি এ) সাধারণত ব্র্যান্ড টার্মের চেয়ে বেশি হবে। কিন্তু আপনি শুধুমাত্র ব্র্যান্ড টার্ম থেকেই এতো বেশি ভলিউম পাবেন সে, অবশেষে প্রোডাক্ট টার্মের মাধ্যমে আপনি এগুলোও পেতে চাইবেন।
৩. কম্পিটিটর টার্মঃ
পেইড সার্চ মার্কেটিং এর জীবদ্দশায় এমন একটি সময় ছিল যখন কনভার্সন রেটের এবং সি পি এ -র কার্যকারিতার জন্য ব্র্যান্ড টার্মের পরই অবস্থান ছিল কম্পিটিটর টার্মের। যাই হোক, সম্প্রতি গুগল তাদের কোয়ালিটি স্কোর রিক্যুয়ারম্যান্ট শক্ত করেছে; এবং কম্পিটিটর টার্মের জন্য কম দামে কস্ট পার ক্লিক (সি পি সি) প্রায় অসম্ভব। যদি আপনার খরচ করার মতো টাকা থাকে এবং একজন শক্তিশালী কম্পিটিটরের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করছেন, তাহলে এই টার্ম গুলো আপনার জন্য ভাল হবে।
৪. সাবস্টিটিউট প্রোডাক্ট টার্মঃ
এটা হল এমন একটি টার্ম যা আপনার পণ্যের পরিবর্তে ব্যবহার করা যাবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি কলম বিক্রি করছেন, তাহলে “পেন্সিল” এর উপর বিড (অপটিমাইজ) করা বিবেচনা করা যেতে পারে।
কম্পিটিটর টার্মের ক্ষেত্রে, গুগল আপনাকে এদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক ক্রেডিট দিবে না, তাই পে পার ক্লিকের (পিপিসি) জন্য এগুলোতে বিড করা অধিক ব্যয়বহুল এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর জন্য পাওয়াও কঠিন হবে। যাই হোক, আপনি যদি আগের ক্যাটাগরি থেকে যতটা সম্ভব ভলিউম পেয়ে যাচ্ছেন, তাহলে সেগুলো বিবেচনাযোগ্য।
৫. কমপ্লিম্যান্টারি প্রোডাক্ট টার্মঃ
এগুলো হল সেসব জিনিস যা আপনার পণ্যের সঙ্গে যায়, যেমন “টিভি স্ট্যান্ড” যদি আপনি টিভি বিক্রি করেন। মূলত, এগুলো হল অন্যদের প্রোডাক্ট টার্ম। আপনি তাদের থেকে কিছু মার্জিনাল কনভার্সন পেতে পারেন।
৬. অডিয়েন্স টার্মঃ
এই ক্যাটাগরিতে সেসব টার্ম থাকবে যেগুলো আপনার টার্গেট অডিয়েন্সরা খুঁজতে পারে। সাধারণত এসব শব্দের ইম্প্রেশন বিশাল থাকে, তাই এটা থেকেই ট্রাই করতে চাওয়াটা স্বাভাবিক। আবার, যখন থেকে এই ক্যাটাগরি, ট্রেডিশনাল ডিসপ্লে টার্গেটিংয়ের সাথে আরো বেশি সমন্বিত, যা পাঠকদের মনোযোগ ও শখের উপর ভিত্তি করে করা, আপনি এই ধরণের শব্দগুলো ব্যবহারের জন্য উপর থেকে প্রচুর সাজেশন আসতে পারে।
এটি একটি কারণেই টার্গেট মডেলটি খুব উপকারি। টার্মগুলো থেকে এটা স্পষ্ট দেখা যায় যে আপনার পণ্য খুঁজে পাওয়ার জন্য মানুষের অনেক বেশি ইচ্ছা নেই। আর এটা বুঝতে পারলে যখন টার্মগুলো ডিসপ্লে অ্যাড এর মত আচরণ করবে এবং আপনার সবগুলো শব্দের জন্য সর্বনিম্ন কনভার্সন এবং সর্বোচ্চ সিপিএ জেনারেট করবে আপনি আশ্চর্যান্বিত হবেন না।
আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চে টার্গেট মডেল ব্যবহার করা
আপনি এখন টার্গেট মডেলের সাথে অনেকটা পরিচিত। চলুন এবার দেখে নেয়া যাক, কিওয়ার্ড রিসার্চের বিভিন্ন স্টেপের সময় এগুলো কিভাবে কাজে লাগেঃ
সীড লিস্ট তৈরি করা
একটি সীড লিস্ট হল আপনার কিওয়ার্ড আইডিয়ার প্রাথমিক সেট। ছয়টি কিওয়ার্ড ক্যাটাগরি লিখুন। তারপর ব্রেইনস্ট্রোমিং এবং ইনভ্যাস্টিগেশন – এর কম্বিনেশন ব্যবহার করুন কিওয়ার্ডের তালিকা পূর্ণ করতে, ব্র্যান্ড এবং প্রোডাক্ট টার্মের উপর সবচেয়ে বেশি সময় দিন।
আপনি চাইবেন এই লিস্ট আপনার প্রোডাক্ট কি করতে এবং কি কি সমস্যা সমাধান করে এসবগুলো বিষয়ই কভার করবে, কিন্তু এজন্য প্রতিশব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা পরবর্তী ধাপে হবে।
১. আপনার অডিয়্যান্স রিসার্চ করুনঃ আপনার পণ্য বা সেবা বর্ণনা করতে আপনার অডিয়্যান্স কি কি টার্ম ব্যবহার করে? তাদের দৈনন্দিন জীবনে তারা এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অন্য আর কি কি টার্ম ব্যবহার করে? এসব জানার জন্য ব্লগ পোস্ট এবং কমেন্ট, ফোরাম, লিঙ্কডইন গ্রুপ, এবং আপনার নিজস্ব সাপোর্ট রিকোয়েস্টে দেখুন।
২. এখন ব্যবহৃত হচ্ছে এমন সার্চ টার্মগুলো খুঁজুনঃ মানুষজন আপনারকে কি কি সার্চ টার্ম ব্যবহার করে খুঁজছে তা দেখতে আপনার অ্যানালাইটিক্যাল টুল, গুগল ওয়েবমাষ্টার টুল, এবং ওয়েবব্লগ ব্যবহার করুন। যদি ইন্টারনাল সাইট সার্চের ডাটায় আপনার অ্যাক্সেস থাকে, তাহলে লোকজন কি চায় তা জানতে সেখানেও দেখতে পারেন।
৩. কিছু সাজেশন নিনঃ সুভল (Soovle) এমন একটু টুল যা একটি কিওয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে এবং অন্যান্য সাইটে টপ অটোকমপ্লিটস কি কি তা জানতে আপনাকে সহায়তা করে। সব কিওয়ার্ডকেই সুভল (Soovle)-র মধ্য দিয়ে চালনা করার প্রয়োজন নেউ, কিন্তু আপনি কয়েক জোড়া ট্রাই করতে পারেন এটা দেখতে যে আপনি কিছু মিস করছেন কি না।
৪. কম্পিটিশন চেক আউট করুনঃ স্পাইফ্লু (SpyFu) বা এসইএম রাশ (SEM Rush) -এর মত টুলস আপনাকে কম্পিটিটর -রা কিসে বিড করছে তা দেখায়। সুভল (Soovle) -র মতো এখানে অনেক বেশি সময় দিতে হয় না। কিন্তু কিছু কম্পিটিটর- এর নাম এবং কি টার্মস দিয়ে দেখতে পারেন এমন কিছু কি আছে যা আপনি ভাবেন নি এখনো!
কিওয়ার্ডের লিস্ট তৈরি
এখন সময় আপনার লিস্ট লম্বা করার। আপনার ফেভারিট কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল চালু করুন এবং তাতে কিওয়ার্ড প্রবেশ করানো শুরু করুন।
“থামুন!” আপনি হয়তো ভাবছেন, আপনার ফেভারিট কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোনটি হওয়া উচিত?
অথবা, আমার কাছে কি কোন গোপন হাতিয়ার আছে?
নাহ। অনেক কিওয়ার্ড রিসার্চ আর্টিকেল টুলসের একটি লিস্ট ধরিয়ে দেয়, কিন্তু আমার কথা হল আপনি গুগল এডওয়ার্ড কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল (Google Adwords Keyword Research Tool) দিয়েই শুরু এবং শেষ করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রে বেশির ভাগ ট্র্যাফিক গুগল থেকেই আসে, এবং পিপিসি ট্র্যাফিকের অনুপাতও অপেক্ষাকৃত বেশি, তাই আপনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গড় ট্র্যাফিকের একটি ধারণা পেতে পারেন। এটা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সে বিষয়ক কিছু টিপস নিচে দেয়া হলঃ
১. টপিক অনুসারে গ্রুপ ওয়ার্ডঃ যখন কিওয়ার্ড দেয়া শুরু করবেন, আপনি দেখবেন যে আপনি একসাথে একটির বেশি কিওয়ার্ড এন্টার করাতে পারছেন, তখন সেগুলোকে টপিক অনুযায়ী আলাদা আলাদা গ্রুপে রাখুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি সরিষা এবং সস দুটোই বিক্রি করেন, তাহলে আপনি “সরিষা” এবং “ডিজন সরিষা” একসাথে, এবং সস আলাদা রাখবেন।
২. “ম্যাচ টাইপ” থেকে, “এক্স্যাক্ট” সিলেক্ট করুনঃ এখানে আপনি গুগল “ম্যাচ টাইপস” এর একটি বিশদ ব্যাখ্যা পাবেন, কিন্তু সাধারণত “এক্স্যাক্ট ম্যাচ” আপনাকে ঐ টার্মের জন্য, শুধুমাত্র ঐ টার্মের জন্যই কতগুলো সার্চ হয়েছে সেই সংখ্যা জানাবে। এজন্য একটা টার্মের জন্য আপনি কেমন সার্চ ট্র্যাফিক পাবেন সে সম্পর্কে আরো ভাল এবং দৃঢ়ভাবে মূল্যায়নের সুযোগ পাবেন।
৩. ভাষা এবং লোকেশন সিলেক্ট করুনঃ “আডভান্সড অপশনস এন্ড ফিল্টারস” (Advanced Options and Filters) থেকে আপনার পছন্দের ভাষা এবং লোকেশন সিলেক্ট করুন। আপনি যদি শুধুমাত্র সান ফ্রান্সিস্কো থেকে স্প্যানিশ ভাষাভাষীদের চান, তাহলে সেভাবেই ফিল্টার সেট করুন। “লোকাল মান্থলি সার্চ” (Local Monthly Searches) -এ আপনি যে সংখ্যা দেখবেন তা আপনার নির্দিষ্ট সেট আপে মানুষ কেমন সার্চ করে সে সম্পর্কে ধারণা দিবে।
৪. আপনার কলাম সেট করুনঃ কলাম থেকে “কম্পিটিশন এন্ড লোকাল মান্থলি সার্চেস” (Competition and Local Monthly Searches) সিলেক্ট করুন। গড় সিপিসি সহ অন্যান্য ডাটার কলাম কলাম রয়েছে, কিন্তু আমি আগে এগুলো কখনই এতোটা কার্যকরী পাই নি।
৫. কিওয়ার্ড আইডিয়া ডাউনলোড করুনঃ যে কিওয়ার্ডগুলো ভাল লাগবে সেগুলো টিক দিন; তারপর “ডাউনলোড/মাই কিওয়ার্ড আইডিয়া” (Download/My Keyword Ideas) সিলেক্ট করুন। এটা আপনার রেজাল্ট মিলিয়ে একটি স্প্রেডশিট তৈরি করবে। আপনি যখনি আরো সীড টার্ম প্রবেশ করাবেন কিওয়ার্ড আইডিয়াগুলো বামদিকের কলামে থাকবে, যেন আপনার শেষ হলেই আপনি শুধু ডাউনলোড করতে পারেন।
আপনার কিওয়ার্ড লিস্ট রিফাইন বা পরিশুদ্ধ করা
এখন যেহেতু আপনার একটি ভাল কিওয়ার্ড লিস্ট আছে, এটা এখন পরিশুদ্ধ করার পালা। এই কাজটা বেশি দরকারি যখন আপনি এসইও এর জন্য কিওয়ার্ডের লিস্ট তৈরি করছেন। কারণ এজন্য আপনি কতটি কিওয়ার্ড অপটিমাইজ করতে পারবেন তার একটি সীমাবদ্ধতা আছে। এখানে তেমন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই; আপনাকে শুধু কম ইন্টারেস্টিং শব্দ গুলো বাদ দিয়ে দিতে হবে। লিস্টটি রিফাইন করার সময় নিচে দেয়া বিষয়গুলো বিবেচনা করতে পারেনঃ
১. কিওয়ার্ড ক্যাটাগরিঃ
যদি আপনি ৫০০ টি অডিয়্যান্স কিওয়ার্ড এবং মাত্র ১৫ টি প্রোডাক্ট কিওয়ার্ড পান, আপনি সম্ভবত কি কম ইন্টারেস্টিং অডিয়্যান্স কিওয়ার্ড বাদ দিতে পারেন। যেগুলো টার্গেটের সবচেয়ে কাছাকাছি ক্যাটাগরির দিকে মনোযোগ দিন।
২. কম্পিটিশনঃ
অনলাইন টুলসে, গুগল কিওয়ার্ড কম্পিটিশনকে লো থেকে হাই এভাবে রেট করে। আপনার ডাউনলোড করা লিস্টে, তারা এটাকে ০ থেকে ১ এর মধ্যে পরিবর্তন করে দিবে। ভ্যেলু হাই থাকার অর্থ হল কম্পিটিশন বেশি। শুধুমাত্র পেইড সার্চে গুগলের নাম্বার দেয়া থাকে। মোজ (Moz) -এর একটি টুল রয়েছে (পেইড সাবস্ক্রাইবারদের জন্য প্রযোজ্য) যা এসইও এর জন্য কিওয়ার্ডের ডিফিকাল্টি স্কোর দিয়ে থাকে।
৩. ল্যান্ডসক্যাপ সার্চঃ
আপনার সবচেয়ে জরুরী টার্মগুলো গুগলে (বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে) প্রবেশ করান এবং দেখুন কি আসে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড সানসিল্কের জন্য ক্যাম্পেইন করছেন, যতক্ষণ না আপনি সার্চ রেজাল্ট দেখছেন, ততক্ষণ আপনি জানতেই পারবেন না যে “চুলে দেয়ার শ্যাম্পু” গাড়িও রেফার করে।
৪. সিমেনটিক বা অর্থবাচক গ্রুপিংঃ
অনেকেই জানতে চান তাদের কিওয়ার্ড লিস্ট কত বড় হওয়া উচিত। এটা আসলে আপনার পণ্য বা সেবার পরিধি বা জটিলতার উপর নির্ভর করে। এটা কিন্তু আবার অনেক বড় হবারও দরকার নাই। আপনি যদি বড় কোন এন্টারপ্রাইজের জন্য লিস্ট তৈরি না করছেন, তাহলে হাজারের পরিবর্তে ডজন বা শতখানেক কিওয়ার্ডের কথা ভাবলেই চলবে। পিপিসি- তে, আপনি ব্রোড ম্যাচ (লং-টেইল টার্ম ধরতে) এবং গুগলের কিওয়ার্ড রিপোর্ট (আপনার লিস্টে কার্যকরি টার্মগুলো অ্যাড করতে) ব্যবহার করতে পারেন।
অন-পেইজ এস ই ও এবং অফ-পেইজ এস ই ও
[On-page SEO and off-page SEO]
অন-পেইজ এস ই ও কি?
অন-পেইজ এস ই ও -তে সব অন-সাইট টেকনিক থাকে যা আপনি একটি ওয়েবপেজকে সার্প (SERP)-এ রেংক করা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনাকে পেজ কতটা ভালভাবে র্যাংক করবে সেটা জানতেও সাহায্য করে। এটা পেজের কোয়ালিটি উন্নত করতে কনটেন্ট এবং টেকনিক্যাল উপাদান দুটোই ব্যবহার করে, তাই আপনি যত বেশি অন-পেইজ এস ই ও করবেন, ততবেশি ট্র্যাফিক আপনার ওয়েবসাইটে পাবেন এবং ট্র্যাফিকও ততবেশি প্রাসঙ্গিক হবে।
একটি ওয়েবপেজে বিভিন্ন ধরণের দিক রয়েছে যেগুলো অন-পেইজ এস ই ও দ্বারা অপটিমাইজ করা যায়। নিচে এগুলো দেয়া হলঃ
- টাইটেল ট্যাগ
- হেডিং
- ইউআরএল স্ট্র্যাকচার
- ছবির জন্য অল্ট টেক্সট
- সাইট স্পীড
- অন্তর্নিহিত লিঙ্কসমূহ (Internal links)
- মেটা ডেসক্রিপশন
- রেসপন্সিবনেস
অন-পেইজ এস ই ও – এর সর্বোৎকৃষ্ট টেকনিক্যাল প্র্যাকটিসসমূহ
টাইটেল ট্যাগ হল এইচটিএমএল উপাদান সমূহ যা আপনি ওয়েবপেজের নাম ডেজিগনট করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি টাইটেল ট্যাগ ইউনিক হতে হয়, পেজটা কি সম্পর্কে তার বর্ণনা থাকতে হয়, কিওয়ার্ড দ্বারা অপটিমাইজ করা থাকা লাগে এবং ৬০ ক্যারেক্টারের কম দৈর্ঘ্যের হতে হয়।
হেডিং হল আপনি আপনার কনটেন্টে যে টাইটেল দেন সেটা, এবং এগুলো H1 format -এ থাকলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। হেডিং সবসময় প্রাসঙ্গিক এবং ডেসক্রিপটিভ শব্দের উপর ফোকাস করে থাকা উচিত, এবং যখন এটা কিওয়ার্ড দিয়ে অপটিমাইজ করতে যাবেন, তখন এগুলোকে একসাথে স্তূপ করে ফেলবেন না। কনটেন্টকে ভাগ ভাগ করে করতে চাইলে সাবহেডিং (H2 থেকে H6) ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু পোস্টের মধ্যে কিওয়ার্ড বা ফ্রেজগুলো পুনরাবৃত্তি করবেন না।
ইউআরএল স্ট্র্যাকচার খুবই দরকারি একটি জিনিস যখন সার্চ ইঞ্জিন একটি পেজকে একটি কুয়্যেরি থেকে কতটা প্রাসঙ্গিক যা নির্ধারণ করে, এবং এটার পেজের বিষয় সম্পর্কে ডেসক্রিপটিভ হওয়া উচিত। আপনি কিওয়ার্ড দিয়েও ইউআরএল অপটিমাইজ করতে পারেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা প্রাসঙ্গিক। একটি ইউআরএল স্ট্র্যাকচারের উদাহরণ হল http://www.petlovers.com/red-indian-pigeon (যা www.petlovers.com/123456 থেকে ভাল)।
অল্ট টেক্সট বা অল্টারনেটিভ টেক্সট সার্চ ইঞ্জিনকে একটি ছবি সম্পর্কে আরো বেশি তথ্য যোগান দেয়, যদিও এটা সাধারণত ছবিটি ওয়েব ভিজিটরদের ছবিটি বর্ণনা করে যা তারা দেখতেই পায় না। ১২৫ ক্যারেক্টার বা তার কমে দ্রুত পেজ লোডের গতি নিশ্চিত করতে অপটিমাইজ করার জন্য অল্ট টেক্সটকে স্পেসিফিক এবং ইমেজ কনটেন্টের জন্য ডেসক্রিপটিভ হওয়া উচিত।
ইন্টারনাল লিঙ্ক ভিজিটরদের জন্য আপনার সাইট ভ্রমণ সহজ করে দেয়, কিন্তু এটা সার্চ ইঞ্জিনকেও আপনার সাইট বুঝতে এবং পেজগুলোকে ইনডেক্স করা সহজ করে, এইভাবে আপনার সাইট হাইয়ার র্যাংক পাবে।
মেটা ডেসক্রিপশন হল খুবই সংক্ষিপ্ত কিন্তু তথ্যবহুল বর্ণনা যা টাইটেল ট্যাগকে বিস্তৃত করে, একটি পেজের কনটেন্টকে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করে, এবং ওয়েব ব্যবহারকারীদের জানায় কেন তাদের উচিত অন্যদের কনটেন্টের পরিবর্তে আপনারটা পড়া। মেটা ডেসক্রিপশনে টাইটেল এবং ইউআরএল থাকে, এবং এটাকে ১৬০ ক্যারেক্টারের কম রাখা উচিত।
রেসপন্সিবনেস হল একটি ডিজাইন সামগ্রী যা আপনার পেজকে মোবাইল এবং ডেস্কটপ সহ যেকোনো ডিভাইসে ঠিকভাবে প্রদর্শনের নিশ্চয়তা প্রদান করে। বিশ্বের যতবেশি মানুষ অনলাইন সার্চের জন্য মোবাইল ব্যবহার করতে থাকবে ততবেশি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হতে থাকবে।
অন-পেইজ এস ই ও এবং কনটেন্টের প্রভাব
টেকনিক্যাল বিষয়গুলো যেমন জরুরী, অন-পেইজ এস ই ও -এর সবচেয়ে দরকারি উপাদান হল কনটেন্ট কারণ এটাই আপনার সাইটে ট্র্যাফিক আনে।
যাই হোক, শুধুমাত্র কনটেন্টই না, আজকালকের ওয়েব ইউজাররা প্রাসঙ্গিক, ইন্টারেস্টিং, এংগেজিং, এবং ইনফরমেটিভ কনটেন্ট যা মানুষের প্রয়োজন পূরণ করে। অন্য কথায়, মানুষ আপনার তৈরিকৃত কনটেন্ট গ্রহণ করবে, যা বিভিন্ন ফর্মে আসতে পারে, যেমনঃ
- ব্লগ
- ওয়েবপেজ কপি
- ভিডিও
- ইনফোগ্রাফিক
- পডকাস্ট
- হোয়াইটপেপার
- ইবুক
- ইন্টারভিউ
- কেস স্টাডিস
- অরিজিনাল রিসার্চ
- রিভিউ
- ইন্সট্রাকশনাল আর্টিকেল
- কুইজ ও পোল
যাই হোক, আপনার তৈরিকৃত কনটেন্ট সম্পর্কে আরেকটি দরকারি উপাদান হল অন্যদের আপনার কনটেন্টের সাথে লিঙ্ক করার ক্ষমতা থাকতে হবে, মানে এমন কনটেন্ট যার জন্য লগ ইন, কপিরাইট ম্যাটেরিয়াল, এবং স্লাইড শো – এর প্রয়োজন হয় সেগুলো পরিহার করুন।
অফ পেইজ এসইও এবং ব্যাকলিংকের প্রভাব
কীওয়ার্ড স্টাফিং একটা সময় গ্রহণযোগ্য অনুশীলন হিসাবে ব্যবহৃত হতো যা এখন ডোডো পাখির মতই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, একইভাবে পৃষ্ঠার র্যাঙ্ক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যাকলিঙ্কগুলি কেনা বা বাণিজ্য করার অনুশীলনও ছিলো। সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে কিছু সময়ের জন্য এই অনুশীলনগুলো জনপ্রিয়তা পেলেও পরবর্তীতে অপ্রাসঙ্গিক ব্যাকলিঙ্ক যোগ করার ফলে পেইজের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে।
যদিও সার্চ ইঞ্জিনগুলি ব্যাকলিংকের সংখ্যা এবং গুনগত মান (পাশাপাশি রেফারিং ডোমেনগুলির সংখ্যা) উভয়ই বিবেচনা করে, তবুও মনে রাখতে হবে যে, পরিমানের তুলনায় গুণগতমান অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ব্যাকলিংকগুলি অফ-পেজ এসইও-র সাথে অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে জড়িয়ে থাকে। একটি অনুমোদিত সাইটের গুনগত মানের ব্যাকলিংকের মূল্য ১০ বা ১০০ টি নিম্ন মানের লিঙ্কেরও মূল্যের চেয়েও বেশি। লিংক বিল্ডিং খুব একটা সহজ কাজ নয়, তবে নীল প্যাটেলের চারটি কৌশল রয়েছে যেটা আপনি লিংক বিল্ডিং এর কাজে ব্যবহার করতে পারেনঃ
১. বিভিন্ন সাইটে গিয়ে গেস্ট ব্লগ লিখতে পারেন। এতে করে আপনার কাজের দক্ষতার প্রমাণ পাবে।
২. এমন কন্টেন্ট লিখুন, যেটা ট্রেন্ডের সাথে খাপ খেয়ে যায়। কারণ এই ধরনের পোস্টগুলি এখন অত্যন্ত জনপ্রিয়।
৩. ব্যাক লিঙ্কগুলির জন্য নির্দিষ্ট ব্লগ খুঁজুন (বিশেষ করে ট্রেন্ডি ব্লগগুলো) এবং পরবর্তীতে ওইসব লিঙ্কগুলির সাথে আপনার একই বিষয়ে লিখিত কন্টেন্ট প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করুন।
৪. ইনফোগ্রাফিকের সুবিধা নিন এবং প্রচুর পরিমাণে ইনফোগ্রাফিক তৈরি করুন।
অফ-পেজ এসইও এর অন্যান্য সেরা অনুশীলনসমূহ
যদিও কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক অফ-পেজ এস ই ও স্ট্যাট্যাজির মেরুদন্ড, আরো কিছু টেকনিক রয়েছে যা আপনি সাইট অথোরিটি বাড়াতে এবং আরো বেশি লিঙ্ক যোগানোতে কাজে লাগাতে পারেন।
একটি আপনার ব্যবসাকে লোকাল লিস্টিং এবং ইন্টারনেট ডিরেক্টরি, যাতে গুগল মাই বিসনেস (Google My Business), ইয়েল্প (Yelp), ইয়েলো পেজেস (Yellow Pages), এবং অন্যান্য লোকাল লিস্টিংয়ের মত জিনিস অন্তর্ভুক্তর সাথে যুক্ত করে। একবার যুক্ত হয়ে গেলে, নিশ্চিত করুন যে সকল তথ্য সঠিক আছে, এবং আপনার নাম, ঠিকানা, এবং ফোন নাম্বার সব প্ল্যাটফর্মে একই রকম দেয়া আছে।
আরেকটি উপায় যা আপনি অফ-পেজ এসইও -তে যুক্ত করতে পারেন (যখন ট্রাস্ট ও ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়াচ্ছেন) সেটা হল কোরা (Quora) -র মোট সাইটের ডিসকাশনে অংশগ্রহন করা এবং অন্যান্য প্রশ্ন – উত্তর বিষয়ক সাইটে প্রশ্নের উত্তর দেয়া, বিশেষ করে যদি কমিউনিটির সাথে শেয়ার করার মত বিশেষত্ব আপনার থাকে।
আপনি ব্যবহার করতে পারেন এমন একটি সর্বশেষ অফ-পেজ এসইও টেকনিক হল ইমেজ, অডিও, এবং ভিডিও শেয়ারিং সাইট সহ বিভিন্ন শেয়ারিং সাইটে ব্যাকলিঙ্ক করা কনটেন্ট সাবমিট করা। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়গুলো হলঃ
- ভিডিওঃ ইউটিউব (YouTube) ভিমো (Vimeo) এবং ডেইলিমোশন (Dailymotion)
- অডিওঃ সাউন্ডক্লাউড (SoundCloud) এবং পডবীন (Podbean)
- ইমেজঃ ইন্সটাগ্রাম (Instagram), এবং পিন্টারেস্ট (Pinterest), ফ্লিকার (Flickr)
হোয়াইট হ্যাট বনাম ব্ল্যাক হ্যাট
প্রথমেই একটি জিনিস সরাসরি বলে দিতে চাই। এস ই ও ফোর্সের দুটি দিক আছে, আর আপনাকে এখনই যেকোন একটি বাছাই করতে হবে। আপনারা যেমনটি জানেন, আমি চট-জলদি কোন লাভের পরিবর্তে দীর্ঘ সময়ব্যাপী চলা উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করছি।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ব্যাপারটাও সেরকম। কেউ কেউ একবারেই বিশাল অর্থ পেতে এস ই ও করেন, আবার অনেকে দীর্ঘ সময় টিকে থেকে কাজ করেন।
যদি আপনি এস ই ও -কে ঝটপট ধনী হবার স্কিম হিসেবে গন্য করে কাজ করতে চান, আপনি সম্ভবত ব্ল্যাক হ্যাট এস সি ও করবেন।
এই ধরণের এস ই ও মানুষজনের চাহিদাকে আদৌ বিবেচনা না করে, আপনার কন্ট্যান্টকে শুধু সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করায় মনোযোগ দেয়।
যেহেতু আপনার সাইটকে হাই র্যাংক করার জন্য নিয়ম ভঙ্গের অনেক উপায় রয়েছে, দ্রুত কয়েক হাজার ডলার উপার্জন করার জন্য এগুলোই ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও করার প্রধান পন্থা হিসেবে কাজ করে।
তবে, শেষ অবধি, এই ধরণের অ্যাপ্রোচ স্প্যামিং, নিম্ন মানের পেজে পরিণত হয় যা প্রায়ই খুব দ্রুত ব্যান করে দেয়া হয়। এর ফলে মার্কেটারকেও ভবিষ্যতে টেকসই কিছু তৈরির সুযোগ ধ্বংসের মত একটি চড়া মূল্য দিতে হয়।
আপনি এই পথে এগোলে কিছু বিশাল ব্যাপার স্যাপার অর্জন করতে পারবেন হয়তো, কিন্তু আপনাকে প্রতিনিয়ত সার্চ ইঞ্জিন আপডেটের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং নিয়ম কানুনকে কায়দা করে ফাঁকি দিয়ে বের হবার নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
হোয়াইট হ্যাট এস ই ও, অপরদিকে, একটি টেকসই অনলাইন ব্যবসা গড়ে তোলার উপায়। আপনি যদি এভাবে এস ই ও করেন, তাহলে পাঠক হিসেবে শুধুমাত্র মানুষদের উপরেই ফোকাস করবেন।
তাদেরকে সবচেয়ে ভাল কনটেন্ট দেয়ার চেষ্টা করবেন এবং সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মাবলি মেনে তাদের নিকট এগুলো সহজভাবে উপস্থাপন করবেন।
20 Free SEO Audit Sites:
1. https://www.scamadviser.com
2. http://www.statshow.com
3. https://www.siteprice.org
4. https://seositecheckup.com/
5. https://iwebchk.com/
6. http://whoischeck.info/
7. https://sitecheck.sucuri.net/
8. https://keyoptimize.com
9. https://spymetrics.ru/en
10. https://website.grader.com
11. https://www.seo-detective.com/
12. https://www.seoptimer.com/
13. https://www.woorank.com/
14. https://fragout.org/
15. https://valuemywebsite.net
16. https://www.websitesuccesstools.com/
17. https://apexstats.com/
18. https://sitechecker.pro/
19. https://www.webrankpage.com
20. cutestat.com
সাধারণ টেকনিক্যাল এস ই ও সমস্যা এবং সবচেয়ে ভাল উপায়সমূহ
[Common Technical SEO Problems and Best Practices]
যখন আমরা “টেকনিক্যাল এসইও” টার্মটা ব্যবহার করি, আমরা একটি ওয়েবসাইটের এবং/ অথবা সার্ভার যেটায় আপনার পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকে তাকে বুঝাই। এটার উপর সার্চ ইঞ্জিন ক্রওলিং, ইনডেক্স করা এবং অবশেষেঃ সার্চ র্যাংকিং, টেকনিক্যাল এসইও যার মধ্যে পেজ টাইটেল, টাইটেল ট্যাগ, HTTP হেডার রেসপন্স, XML সাইটম্যাপ, 301 রিডির্যাক্ট এবং মেটাডেটার মতো উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত সেগুলোর প্রত্যক্ষ ( বা মাঝে মাঝে পরোক্ষ) প্রভাব পড়ে।
টেকনিক্যাল এসইও -তে অ্যানালিটিক্স, কিওয়ার্ড রিসার্চ, ব্যাকলিঙ্ক প্রোফাইল ডেভেলপমেন্ট বা সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটিজি নেই।
এই ৫ টি অতি সাধারণ টেকনিক্যাল এসইও ফিক্সসমূহ প্রায়ই খেয়াল করা হয় না, কিন্তু এগুলো ঠিক করা খুবই সহজ এবং আপনার সার্চ ভিসিবিলিটি এবং এসইও সাক্সেসকে ত্বরান্বিত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আর যদি নিজে করতে না পারেন এস ই ও এক্সপার্ট এর সাথে যোগাযোগ করুন।
১. HTTPS সিকিউরিটি না থাকা
HTTPS দ্বারা সাইটকে সুরক্ষিত রাখা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি জরুরী। অক্টোবর ২০১৭ তে, গুগল ক্রোমে একটি “নট সিকিউর” সতর্ক সংকেত চালু করেছে। প্রতিবার কোন ওয়েব ইউজার HTTP সাইটে ল্যান্ড করলে এটা প্রদর্শিত হয়।
আপনার সাইটটি HTTPS কিনা সেটা যাচাই করতে, গুগল ক্রোমে আপনার ডোমেইন নাম টাইপ করুন। যদি আপনি নিচের ছবিতে দেখানো “সিকিউর” ম্যাসেজ পান তাহলে, আপনার সাইট সুরক্ষিত।
যাই হোক, যদি আপনার সাইট সুরক্ষিত না থাকে, আপনি আপনার ডোমেইনের নাম গুগল ক্রোমে টাইপ করলে, “নট সিকিউর” সতর্কতা চিহ্নের সাথে একটি ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ড – বা এর চেয়েও খারাপ, লাল ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা যাবে। এই তৎক্ষণাৎ ইউজারদের আপনার সাইট থেকে সরিয়ে ফেলবে।
কিভাবে ঠিক করবেনঃ
আপনার সাইটকে HTTPS -এ পরিবর্তন করতে, একটি সার্টিফিকেট অথোরিটি থেকে আপনার একটি SSL সার্টিফিকেট দরকার হবে। আপনার সার্টিফিকেট একবার কিনে নিয়ে ইন্সটল করলেই আপনার সাইট সুরক্ষিত হবে।
২. সাইট ঠিকভাবে ইনডেক্স হয়নি
আপনি যখন আপনার ব্র্যান্ডের নাম গুগলে সার্চ করেন, আপনার ওয়েবসাইট কি সার্চ রেজাল্টে দেখায়? যদি আপনার উত্তর না হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ইনডেক্সিংয়ে সমস্যা আছে। গুগল সম্পর্কে যতটুকু জানি, আপনার পেজ ইনডেক্স করা না হলে, এরা গুগলের জন্য এক্সিস্টই করে না, আর এজন্যই এদেরকে সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কিভাবে চেক করবেনঃ
গুগলের সার্চ বারে “site:আপনারসাইটেরনাম.com” এবং মুহূর্তের মধ্যে আপনার সাইটে ইনডেক্স করা পেজের সংখ্যা দেখতে পাবেন।
কিভাবে ঠিক করবেনঃ
যদি আপনার সাইট একেবারেই ইনডেক্স না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি গুগলে আপনার ইউআরএল যোগ করার মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।
যদি আপনার সাইট ইনডেক্স করা আছে, কিন্তু সেখানে যতগুলো রেজাল্ট আশা করছিলেন তার চেয়ে বেশি থাকে, তাহলে সাইট-হ্যাকিং স্প্যাম বা সাইটের পুরাতন ভার্সন যা ইনডেক্স করা আছে সেগুলো খুঁজে দেখুন।
যদি আপনার সাইট ইনডেক্স করা আছে, কিন্তু সেখানে যতগুলো রেজাল্ট আশা করছিলেন তার চেয়ে কম দেখছেন, তাহলে ইনডেক্সকৃত কনটেন্টের অডিট করুন এবং যে যে পেজ আপনি র্যাংক করাতে চান সেগুলোর বিপরীতে তুলনা করুন। যদি আপনি নিশ্চিতভাবে বুঝতে না পারেন যে কেন আপনার কনটেন্ট র্যাংক হচ্ছে না, তাহলে আপনার সাইটের কনটেন্ট গুগলের
ওয়েবমাষ্টার এর গাইডলাইন মেনে চলছে কিনা।
যদি রেজাল্ট আপনি যেরকম আশা করছিলেন তার চেয়ে কোনভাবে আলাদা হয়, তাহলে নিশ্চিত করুন যে আপনার ওয়েবসাইটের জরুরী পেজগুলো robots.txt ফাইল দ্বারা ব্লক করা কিনা (আমাদের লিস্টের #৪ নং পয়েন্ট দেখুন)। আপনার এটাও যাচাই করা দরকার যে আপনি ভুলবশত NOINDEX মেটাট্যাগ ব্যবহার করেছেন কিনা (আমাদের লিস্টের #৫ নং পয়েন্ট দেখুন)।
৩. কোন XML সাইটম্যাপ নেই
সাইটম্যাপ একটি (.xml) ভিত্তিক ফাইল যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন এর সার্চ বটকে আপনার সাইট পেজ সম্পর্কে আরো ভালভাবে জানতে সাহায্য করে, যাতে করে তারা আপনার সাইটকে কার্যকর ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ক্রওল করতে পারে।। অর্থাৎ একটি ওয়েব সাইটের কোথায় কোন পোস্ট, ইমেজ, ক্যাটাগরি আছে তার একটি ম্যাপ।
কিভাবে চেক করবেনঃ
গুগলে আপনার ডোমেইন নাম টাইপ করুন এবং নিচের ছবিতে যেমন দেখানো হয়েছে সেভাবে শেষে “/sitemap.xml” or “/sitemap_index.xml” যোগ করুন।
যদি আপনার ওয়েবসাইটে সাইটম্যাপ থাকে, তাহলে আপনি এরকম কিছু একটা দেখবেনঃ
কিভাবে ঠিক করবেনঃ
যদি আপনার ওয়েবসাইটে সাইটম্যাপ না থাকে (এবং আপনি 404 নামের একটি পেজ দেখতে পান), আপনি নিজে এটি তৈরি করে নিতে পারেন বা একজন ওয়েব ডেভেলপার হায়ার করতে পারেন। সবচেয়ে সহজ অপশন হল এক্সএমএল সাইটম্যাপ জেনারেটিং টুল ব্যবহার করা। যদি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট থাকে, তাহলে ইয়স্ট এসইও প্লাগইন (Yoast SEO plugin) স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার জন্য এক্সএমএল সাইটম্যাপ তৈরি করতে পারে।
৪. ভুল Robots.txt বা একবারেই নেই
robots.txt না থাকা একটি বড় রেড ফ্ল্যাগ—কিন্তু আপনি কি জানেন বেঠিকভাবে কনফিগার করা robots.txt ফাইল আপনার অর্গানিক সাইট ট্র্যাফিক নষ্ট করে?
কিভাবে চেক করবেনঃ
robots.txt ফাইল ভুল কিনা সেটা নিশ্চিত হতে, ব্রাউজারে “/robots.txt” সহ আপনার ওয়েবসাইট ইউআরএল টাইপ করুন। যদি আপনি “User-agent: * Disallow: /” নামের রেজাল্ট পান তাহলে আপনার সমস্যা আছে।
কিভাবে ঠিক করবেনঃ
যদি আপনি “Disallow: /” দেখেন, তখনই আপনার ডেভেলপারের সাথে কথা বলুন। এর পেছনে কোন ভাল কারণ থাকবে, অথবা এটা একটা ওভারসাইট হতে পারে।
যদি আপনার robots.txt ফাইল, অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের মত, জটিল হয়, আপনার উচিত ডেভেলপারকে সাথে নিয়ে সব ঠিক আছে কিনা জানতে প্রতিটি লাইন যাচাই করা।
৫. মেটা রোবট NOINDEX সেট
যখন NOINDEX ট্যাগ সঠিকভাবে কনফিগার হয়, এটা থেকে বুঝা যায় যে কিছু পেজ সার্চ বটের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ। (উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন পেজ নিয়ে তৈরি ব্লগ ক্যাটাগরি।) যাই হোক, যখন বেঠিকভাবে কনফিগার করা হয়, NOINDEX গুগল ইনডেক্স থেকে একটি বিশেষ কনফিগারেশনের মাধ্যমে আপনার সার্চ ভিসিবিলিটিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
যখন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করা হতে থাকে, তখন অনেক গুলো NOINDEX পেজের জন্য এটি একটি সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু একবার ওয়েবসাইটটি লাইভে চলে আসলে, NOINDEX ট্যাগ সরানো অপরিহার্য হয়ে যায়। চোখ বন্ধ করে এটা বিশ্বাস করে বসে থাকলে চলবে না যে, এটা সরানো হয়ে গেছে, কারণ এর ফলাফল সার্চে আপনার সাইটের ভিসিবিলিটিকে নষ্ট হবে।
কিভাবে চেক করবেনঃ
আপনার সাইটের মেইন পেজে রাইট ক্লিক করুন এবং ভিউ সোর্স কোড (View Source Code) নির্বাচন করুন। সোর্স কোড থেকে লাইন খুঁজে বের করতে ফাইন্ড (Find) কম্যান্ড ব্যবহার করুন এবং “NOINDEX” অথবা “NOFOLLOW” যেমন <meta name=”robots” content=”NOINDEX, NOFOLLOW”> খুঁজে বের করুন যদি আপনি স্পট চেক করতে না চান, তাহলে আপনার সম্পূর্ণ সাইট স্ক্যন করতে ক্ল্যারিটি অডিট, এসইওক্ল্যারিটি সাইটের অডিট টুল ব্যবহার করুন।
কিভাবে ঠিক করবেনঃ
যদি আপনার সোর্স কোডে কোন “NOINDEX” বা “NOFOLLOW” দেখেন, আপনার ওয়েব ডেভেলপারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলুন, হতে পারে তিনি কোন বিশেষ কারণে এটা অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
যদি কোন জানা শোনা কারণ না থাকে, তাহলে আপনার ডেভেলপারকে এটা <meta name=”robots” content=” INDEX, FOLLOW”> এভাবে পরিবর্তিত করে দিতে বলুন বা ট্যাগটি সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলুন।
শেষ কথা
আশা করি এই গাইড আপনাকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এখন আর কোন ঐচ্ছিক বিষয় নয়।
মৌলিক বিষয়াদি জানতে যেমন অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় না, এসব না জানলে আপনি আপনার অনলাইন উপস্থিতি চিরতরে হারিয়েও ফেলতে পারেন।
যদি আপনি এরই মধ্যে এসইও -এর ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যা তেমন ফলপ্রসূ না, তবুও এখন চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই।
শুধু আজকে থেকে শুরু করবেন এটার দৃঢ় সংকল্প করুন যার ফলাফল পেতে ৬ মাস থেকে এক বছর লাগতে পারে।
আপনার পরবর্তী ব্লগ লেখার আগে কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন। তারপর, মৌলিক বিষয়সমূহ, যেমন আপনার টাইটেল ট্যাগ এবং ডেসক্রিপশন অপটিমাইজ করতে আপনার কিওয়ার্ড ডাটা ব্যবহার করুন।
আর কে জানে – হয়তো পরেরবার যখন আপনি পাব্লিশ বাটনে ক্লিক করবেন সেটা টপ রেজাল্টে চলে আসবে!